Tuesday, October 3, 2017

চালু হচ্ছে মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমভিএনও) লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেবাটি পরিচালনায় লাইসেন্স দিতে নীতিমালা তৈরি করছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে লাইসেনি্সং নীতিমালা তৈরিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিজস্ব নেটওয়ার্ক স্থাপন না করেই টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে পারে এমভিএনও লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে এক বা একাধিক সেলফোন অপারেটরের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন সেবা কিনে তা নিজস্ব বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে এমভিএনও। লাইসেনে্সর ধরন অনুযায়ী ভয়েস ও ডাটাভিত্তিক সব ধরনের সেবাদানের সুযোগ পেয়ে থাকে তারা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেবা নেওয়ার কারণে এমভিএনওর মাধ্যমে গ্রাহকও প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্পন্ন সেবা পেতে পারেন। জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এমভিএনও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেনি্সং নীতিমালা তৈরির জন্য গত মাসের মাঝামাঝি ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশে­ষণ করে নীতিমালার খসড়া তৈরি করবে কমিটি। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নীতিমালার খসড়া জমা দিতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এমভিএনও সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত হলে পরীক্ষামূলকভাবে সেবাদানের অনুমতি দেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে এমভিএনও ভূমিকা রাখতে পারে। সেবা ও ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে বিশ্বে চার ধরনের এমভিএনও কার্যক্রম চালু রয়েছে। এগুলো হল-ব্র্যান্ডেড রিসেলার বা স্কিনি এমভিএনও, সার্ভিস প্রোভাইডার বা লাইট এমভিএনও, এনহ্যান্সড সার্ভিস প্রোভাইডার বা থিক এমভিএনও এবং সম্পূর্ণ এমভিএনও সেবা। ব্র্যান্ডেড রিসেলারগুলো মূল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এ ধরনের এমভিএনও মূল প্রতিষ্ঠানের সেবাই নিজেদের বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। ব্র্যান্ডেড রিসেলার শুধু নিজস্ব গ্রাহক সেবা, বিপণন ও বিক্রয় কার্যক্রমে বিনিয়োগ করে থাকে। সার্ভিস প্রোভাইডার বা লাইট এমভিএনও নিজস্ব গ্রাহক সেবা, বিপণন ও বিক্রির কার্যক্রমে বিনিয়োগ ছাড়াও নিজেরাই সেবার ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারে।

বাবার সঙ্গে আমার পবিত্র সম্পর্ক, নোংরা বলবেন না: হানিপ্রীত

জোড়া ধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ভারতের ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বাবা রাম রহিমও নির্দোষ বলে দাবি তার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তিনি পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করবেন। রাম রহিমকে যে দিন পঞ্চকুলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন পালিত কন্যা হানিপ্রীত। রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই পঞ্চকুলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ডেরা সচ্চা সৌদার ভক্তরা। সেই তাণ্ডব হানিপ্রীতের নির্দেশেই হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে হানিপ্রীত বলেন, "আমাকে যে ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে, তাতে এখন নিজেকেই নিজে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। চূড়ান্ত মানসিক চাপে রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমি একা মেয়ে। আর এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আমাকে প্রশাসন অনুমতি না দিলে কী ভাবে আদালত চত্বরে যেতাম। কী ভাবেই বা বাবার সঙ্গে চপারে উঠতাম। ওরাই আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। আমি কোথায় ছিলাম, তাণ্ডবের সময়! আর বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর ভীষণ ভেঙে পড়ি। কী ভাবে আমি জড়িত থাকব বলুন তো?" রাম রহিমের সঙ্গে পালিত কন্যা হানিপ্রীতের সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। তা নিয়ে হানিপ্রীত ভীষণ হতাশ। একজন মেয়ের সঙ্গে তাঁর বাবার স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে এ ভাবে কাদা ছোড়াটা মোটেই ভাল চোখে নিচ্ছেন না তিনি। তাঁর ভাষায়, "আমি বুঝতে পারছি না। বাবা-মেয়ের এমন পবিত্র সম্পর্ককে এরা কোথায় নামিয়েছে! আমি জানতে চাই, এক জন বাবা তার মেয়ের মাথায় হাত রাখে না? এক জন মেয়ে তার বাবার কাছে যায় না?" তবে তিনি তার প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্তকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র: আনন্দবাজার

Monday, October 2, 2017

বাজারে ভিভিটেকের নতুন মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর

অনলাইন ডেস্ক : তাইওয়ানের ব্র্যান্ড ভিভিটেকের সর্ম্পুণ নতুন চারটি মাল্টিমিডিয়া এবং দু’টি র্শট থ্রো মডেলের প্রজেক্টর বাজারে এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড। মাল্টিমিডিয়া ও র্শট থ্রো মডেলগুলো হচ্ছে-বিএস ৫৬৪, বিএক্স ৫৬৫, বিডাব্লিউ ৫৬৬ , বিডাব্লিউ ২৬৫ এবং ডিএক্স ২৮১ এসটি ও ডিডাব্লিউ ২৮২ এসটি। অত্যাধুনিক ডিজাইনের প্রজেক্টরগুলোতে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া কাজের সুবির্ধাথে নতুন ও আধুনিক ফিচারসমূহ। এক বছরের ল্যাম্প এবং দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ প্রজেক্টর ক্রয় করতে বা বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন: ০১৯৭৭৪৭৬৪৫৯

গুগল অ্যাডসেন্সে বাংলা ভাষা

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অ্যাড নেটওয়ার্ক ‘গুগল অ্যাডসেন্সে’ বাংলা ভাষা সংযুক্ত করা হয়েছে। গুগল ব্লগ জানিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর গুগল নেটওয়ার্কে বাংলা ভাষা সংযুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালে চালু হয় গুগল অ্যাডসেন্স। কিন্ত দাবি থাকলেও এতদিন ধরে অ্যাডসেন্সে বাংলা ভাষা যুক্ত করা হয়নি। ফলে গুগল বিজ্ঞাপন থেকে সুবিধার দিক থেকে প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিল বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটগুলো। গুগল ব্লগে অ্যাডসেন্স টিমের এক পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে অ্যাডসেন্স পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করা হলো। এতে বলা হয়, গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষার কনটেন্টের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে সহজেই কনটেন্ট থেকে নগদ অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকে। ফলে বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্স বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে সহজে বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে বিজ্ঞাপনদাতাদের সহায়তা করবে। বাংলাভাষী ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স যুক্ত করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাকাউন্ট করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দিয়ে থাকে। মূলত অ‍্যাডসেন্স হল—গুগলের লভ্যাংশ-অংশীদারী বিজ্ঞাপন প্রকল্প। যার মাধ‍্যমে একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৫ সালেই প্রতিষ্ঠানটি গুগল অ্যাডসেন্স প্রকাশকদের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার পেমেন্ট দিয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে। বাংলার পাশাপাশি নতুন যোগ করা ভাষার মধ্যে উর্দু, নেপালি, তেলেগু, মারাঠি, তামিলসহ বিভিন্ন প্রাচীন ভাষা রয়েছে। নতুন ৩০টি ভাষা যুক্ত হওয়ায় গুগলের ভয়েস সার্চ সুবিধাটি বিশ্বের মোট ১১৯টি ভাষাভাষীর মানুষ ব‍্যবহার করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন https://adsense.googleblog.com/

নায়ক এবং ভিলেন, দুই চরিত্রেই হৃতিক

অনলাইন ডেস্ক : সারা বিশ্বে নাটক সিনেমায় ডাবল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অনেক বাঘা অভিনয় শিল্পীকে। এবার ডাবল চরিত্রে অভিনয় করেছে হৃতিক রোশন। অবশ্য এর আগে ধুম সিরিজে একটি সিনেমা বেশ কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলো হৃতিক। তবে সে চরিত্রগুলো ছিলো শুধুই ভিলেন চরিত্রে। এবার হৃতিক রোশন একই ছবিতে নায়ক ও ভিলেনের ভূমিকায় দেখা যাবে। ডেকান ক্রনিকালের খবর অনুযায়ী, ‘কৃষ ৪’-এ নাকি হিরো ও ভিলেন দুই ভূমিকাতেই দেখা যাবে হৃতিককে। সূত্রের খবর, ব্যক্তিত্বের পজিটিভ ও নেগেটিভ দুই দিকই দেখাতে চান হৃতিক। সে কারণে এ ছবিতে দুই ভূমিকাতেই দেখা যাবে অভিনেতাকে। যদিও হৃতিক নিজে এখনও এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে এই সম্ভাবনার কথা স্বীকার না করলেও একেবারে উড়িয়ে দেননি পরিচালক রাকেশ রোশন। তাঁর কথায়, আরও একটা কৃষ নিয়ে চিত্রনাট্য লেখাটা সহজ নয়। এতে সময় লাগে। কিন্তু আমরা কৃষ নিয়ে আরও একটা ছবি তো করবই। তার কাজ চলছে।

দেড়মাস পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে ডিপজলকে

অনলাইন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা ও নির্মাতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের হার্টে একটি ব্লক ধরা পরেছে এবং সেখানে রিং পরানো হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হার্টে এই রিং সংযোজন করা হয়। সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর। তিনি অারও জানান, ডিপজলের বর্তমান অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পর্যবেক্ষণকালীন সময়টা সিঙ্গাপুরেই কাটাতে হবে তাকে। গত মঙ্গলবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডিপজলকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং তার ফুসফুসে পানি জমেছিল। এ কারণে চিকিৎসকরা তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটিতে (সিসিইউ) ভর্তি করেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ডিপজলকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ডিপজলের সঙ্গে সিঙ্গাপুর গেছেন তার স্ত্রী জবা ও মেয়ে ওলিজা মনোয়ার।

ফের বায়োপিকে প্রিয়াঙ্কা

ফের বায়োপিকে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বক্সার মেরি কমের বায়োপিকে অভিনয় করে সবার নজর কাড়ার পর এবার এটি তার দ্বিতীয় বায়োপিক সিনেমা। এর আগের করা বায়োপিক বলিউডের সেরা বায়োপিকগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে স্থান পায় ‘মেরি কম’। এবার তিনি বিখ্যাত বিউটিসিয়ান শাহনাজ হুসেন এর বায়োপিকে অভিনয় করবেন। এমনটাই গুঞ্জন উঠেছে সিনে পাড়ায়। আর যেটি পরিচালনা আগ্রহ দেখিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা পূজা বেদী। ফার্স্টপোস্টের খবর অনুযায়ী, এই ছবির কাহিনি তৈরি হবে শাহনাজের মেয়ে নিলোফার করিম ভয়ের লেখা তার মায়ের আত্মজীবনীকে অবলম্বন করে। ‘ফ্লেম: দ্য ইন্সপায়ারিং লাইফ অব মাই মাদার’ বইটি থেকেই ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হবে। আমিরের ‘রং দে বাসন্তী’ ছবির চিত্রনাট্যকার কমলেশ পাণ্ডে এই নতুন ছবির গল্প লেখা শুরু করে দিয়েছেন বলে বলিউড সূত্রে জানা যায়। শাহনাজ হুসেনের চরিত্রের জন্য করিনা কপূর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিদ্যা বালন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে ভাবা হয়েছিল। তবে হুসেনের ইচ্ছে অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত নাকি প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।